মাইকেল জ্যাকসন একজন জোত্যষীর কাছে গিয়ে বললেন

আসসালামুয়ালাইকুম  বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন বর্তমান বিশ্বে মাইকেল জ্যাকসনকে কে না চিনে  মাইকেল জ্যাকসনক হচ্ছে সেই ব্যক্তি  যিনি এই বর্তমান সময়ের মিউজিক কে একটি নতুন রুপ দিয়েছিলেন
 একদিন  মাইকেল জ্যাকসন একজন জোত্যষীর কাছে গিয়ে বললেন  আমি তোমাকে দুটি প্রশ্ন করবো আশা করি তুমি এর সঠিক জবাব দিবেন  এই কথা শুনে জ্যোতিশি  তাকে উদ্দেশ্য করে বলল  ঠিক আছে আমি চেষ্টা করবো 
মাইকেল জ্যাকসন  সর্বপ্রথম জোতিসিকে উদ্দেশ্য করে বলে আমার এই কালো চেহারা কি কখনো ফরশা হবে   এবং আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে এটাই যে আমি আর কত বছর এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকবো 
এতপর জ্যোতিশি তখন মাইকেল জ্যাকসনকে উদ্দেশ্য করে বললো তোমার  যেই চেহারা রয়েছে সেটা পূর্বে যেমন ছিল  ভবিষ্যতে ঠিক তেমনি থাকবে  এর কোনো পরিবর্তন হবে না
 আর যদি বলো তে চুমি দুনিয়াতে কত বছর জিবিত থাকতে পারবে তার উত্তর  হচ্ছে এটাই যে বর্তমান সময়ের  মানুষ  ৭০-৮০ বছরের বেশি বাঁচতে পারে না  আর যদি ভাগ্য সহায় হয় তাহলে মানুষ খুব বেশি  হলেও ১০০ বছর বাঁচতে পারে 
 গনকের এই কথা শুনে মাইকেল জ্যাকসন অনেক উচ্চস্বরে হাসতে থাকে আর বলতে থাকে যে তুমি  ভূল আর যদি তুয়ি সঠিকও হও তাহলেও আমি এটা ভূল প্রমাণ করে দেখাবো । আর আমি এই দুটি কাজ করে দেখিয়ে দেবো  ১ আমি এই কালো চেহারাকে  ফরশা চেহারায় রুপান্তর করবো ২  আমি এই পৃথিবীতে ১৫০ বছর জীবিত থেকে  দেখিয়ে দেবো এতপর মাইকেল জ্যাকসন জ্যোতিসির এই দুটি কথা কে মিথ্য প্রমানিত করতে উঠে পরে লাগে সে তার চেহারার রং পরিবর্তন করার কাজ শুরু করে  তারপর সে আমেরিকা এবং ইউরোপের ৫০ জন প্লাস্টিক সার্জনের  চিকিৎসা গ্ৰহণ করে ১৯৮৭ সারের মধ্যে সে তার চেহারাকে সম্পূর্ণ রুপে পরিবর্তন করে ফেলে  অর্থাৎ কালো চেহারা বিশিষ্ট মাইকেল জ্যাকসননের চেহারার পরিবর্তে একজন সুন্দরী মেয়ের চেহারার অনুরুপ হয়ে যায় । সমস্ত বিশ্ব বাসি একজন ফরশা চেহারার অধিকারী মাইকেল জ্যাকসননের সাথে পরিচিতি লাভ করে মাইকেল জ্যাকসন ১৯৮৭ সালের মধ্যে ব্যাড নামের একটি এলবাম প্রকাশ করে এটা মাইকেল জ্যাকসননের এমন একটা এলবান যা অনেক জনপ্রিয় তা পাই প্রায় তিন কোটি র মতোএর কপি সারা বিশ্বে বিক্রি‌ হয় 
এই এলবামের পর মাইকেল জ্যাকসন সারা বিশ্বের অনেক জায়গায় কনসার্ট করে  সে সারা বিশ্বের নানান জায়গায় ভ্রমণ করে এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রগখমের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার ইনকাম করে এইভাবে সর্বপ্রথম সে তার কালো রং কে পরাজিত করে তারপর মাইকেল জ্যাকসন তর অতীত থেকে পালাতে শুরু করে সে তার বংসের আত্তস্বজনদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক সম্পুর্ন ভাবে ছিন্ন করে দেয় সে তার স্বামীর নিজের ঠিকানাকে পরিবর্তন ফেলে
এমনকি টাকা  পয়সার জোরে সে ফর্সা বাবা মা কিনে নেয় । তার মত পুরনো বন্ধুবান্ধব  ছিলো তাঁদের সাথে থেকে সে আলাদা হয়ে যায় এবং তাদের সাথে সে সম্পূর্ণ ভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করে । এর কারণে সে ধিরে ধিরে একা হয়ে যেতে থাকে এবং সে নিজের হাতে গরা দুনিয়াতে আস্তে আস্তে নিমজ্জিত হতে থাকে  আরটিফিশিয়াল পদ্ধতির মাধ্যমে সে নিজের জন্য এক জন ছেলে বন্ধু এবং এক জন মেয়েকে জন্ম নেয় যখন সে তার  প্রথম কর্ম সম্পাদন করে ফেলে  তখন সে তার দ্বিতীয় কর্মের দিকে অগ্রসর ‌হয় । সে ১৫০ বছর জীবিত থাকার জন্য  যে কর্ম করা শুরু করে  তার ব্যাপরে আমরা কখনো ‌চিন্তও করতে পারবো না  সে শুধু মাত্র অক্সিজেন  কেবিনে শুয়ে থাকতো এবং অসুস্থতা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে বেঁচে থাকার জন্য সে  গ্লাভস পরা শুরু করে । সে লোকের সাথে হাত মেলানোর সময় গ্লাভস পরে নিতো  এবং সে লোকের সাথে দেখা করার পূর্বে মাস্ক পরে নিতো যাতে করে তাদের থেকে কোনো প্রকার  ব্যাকটেরিয়া তার শরীরে প্রবেশ না করে  সে শুধুমাত্র স্পেশাল খাবার খেতো  সে সবসময় তার  তার স্বাস্থ্য নিরাপত্তার  জন্য ১২ জন ডাক্তার সাথে করে নিয়ে ঘুরতো আর সেই সমস্ত ডাক্তারেরা মাইকেল জ্যাকসননের দেহের প্রতিটি অংশ পরিক্ষা করতো তার খাবার  যখন  ল্যাবলেটরিতে টেস্ট করা হতো   যতক্ষণ না সবুজ সিগন্যাল দিবে ততক্ষণে সে খাবার খেতো না  সেই সাথে তার স্টাফরা মাইকেল জ্যাকসন যাতে ভালো থাকে সেই তাঁদের সর্বপ্রকার সেবা যত্ন করতো  আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে সে তার দেহের জন্য সর্বপ্রকার অতিরিক্ত   অঙ্গ  যেমন চোখ কিডনি লিভার ইত্যাদি সংগ্রহ করে রেখেছিলো এবং যে সমস্ত ব্যক্তি তাকে এই সমস্ত অঙ্গ দান করেছিলো  সে তার তার পরিবারের সমস্ত ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছিলো এবং সেই সমস্ত ডোনাররা সব সময় তৈরি থাকতো যে কখন তাদের চোখ লিভার কিডনি ইত্যাদি মাইকেল জ্যাকসননের প্রয়োজন পরবে তা দেবার জন্য তারা সবসময় সতর্ক এবং তৈরি থাকতো এই সমস্ত কাজ গুলো করারা পর মাইকেল জ্যাকসননের এই বিশ্বাস চলে এসেছিলো সে অবশ্যই ১৫০ বছর জীবিত থাকবে এতপর একদিন  ২৫ জুন রাতে  হঠাত  করে মাইকেল জ্যাকসননের স্বাশকষ্ট শুরু হয়ে গেলে ডাক্তাররা যতটুকু সম্ভব  সমস্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলো  তারপর মাইকেল জ্যাকসনকে হাসপাতালে  পাঠানো হয়  তারপর সেই  ব্যক্তি যে কিনা ১৫০ বছর  জীবিত থাকার জন্য   সবকিছুই করলো  সে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই মারা গেলো  মাইকেল জ্যাকসননের মৃত্যুর সংবাদ  গুগলে ১০ মিনিটে ৮ লক্ষ্য মানুষ  পরেছিলো  এটি গুগলের সবচেয়ে বড় রেকর্ড  এতো বেশি  ট্রাফিকের কারণে 
 গুগলের সিস্টেম খানিকটখ সমস্যা হয়ে গিয়েছিলো তর জন্য গুগলকে ক্ষমা চাইতে হয়েছিলো  পোস্টমর্টেম করার পর জানা যায়  অনেক বেশি এক্সপেরিমেন্ট বেশি হওয়ায় কারণে  মাইকেল জ্যাকসননের শরীরটা একটি খোলশে পরিণত হয়ে গেছিলো তার মাথার সমস্ত চুল পরে গিয়েছিলো তার দেহের হারগোড় ভেঙ্গে গিয়েছিলো তার  হাতে এবং  পায়ে  ইনজেকশনের হাজার হাজার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল 
 প্লাস্টিক সার্জারি করবার কারণে তাকে রেগুলার পেনক্লিলার নিতে হতো  কিন্তু এতো কিছু করবার পরেও  তার নিজস্ব ডাক্তারের টিম তার নিজস্ব ডোনার এবং এতো সব ব্যাবস্থা তাকে মৃত্যর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে নি মাইকেল জ্যাকসননের মৃত্যু একটি অনেক বড় শিক্ষা যেটা হচ্ছে মানুষ চাইলে সবকিছুই হাসিল করতে পারে কিন্তু মৃত্যু কখনো ঠেকাতে পারবে না তার মৃত্যু আমাদের জন্য একটা বড়  শিক্ষানীয় ঘটনা 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url